সোনালী বাংলাঃ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় বড়ভাই ও বাবার পর এবার মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে রুবেল হোসেন (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। শনিবার রাতে উপজেলার উত্তর বলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার পর লাশ তোশকে মুড়িয়ে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্থানীয় বাবুল হাওলাদারের ঘরের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বাবুল হাওলাদারের স্ত্রী খাদিজা বেগমকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। নিহত রুবেল ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক খানের ছেলে। পুরনো বিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় রুবেল খান ও তার বড়ভাই মামুন খান স্থানীয় সাতানী বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় একই এলাকার বাবুল হাওলাদার মোবাইল ফোনে রুবেলকে তার বাড়িতে যেতে বলেন। রুবেল তাদের বাড়িতে গেলে তাকে ঘরের ভেতর আটকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় লাশ তোশকে মুড়িয়ে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছিল খুনিরা।
খবর পেয়ে নিহতের ভাই ওয়ালিদ খান ওই বাড়িতে গেলে বাবুলের স্ত্রী খাদিজা বেগম তাকেও কুপিয়ে হাতের কবজি কেটে দেয়। এ ঘটনায় রাতেই ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবীবুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাবুলের স্ত্রী খাদিজা বেগমকে আটক করে পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাবুল পালিয়ে যায়।
নিহতের ভাই মামুন খান বলেন, বাবুল হাওলাদারের সঙ্গে ধানকাটা নিয়ে পুরনো বিরোধ ছিল রুবেল খানের সঙ্গে। এ নিয়ে বাবুলের সঙ্গে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্বও চলছিল। বাবুল ও তার স্ত্রী আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
কাঁঠালিয়া থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, নিহত রুবেলের মা লুৎফুন্নার বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। রোববার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
২০১৮ সালে রুবেলের অপর ভাই রাসেল খানকে পার্শ্ববর্তী পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব মাটিভাঙা এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও ৮ বছর আগে রাজাপুর উপজেলার গাজীরহাট এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে উত্তর চড়াইল এলাকায় লাঠির পিটুনিতে রুবেলের বাবা আবদুল বারেক খান নিহত হয়েছিলেন।